রামুতে ‘ইন্টারন্যাশনাল এমিউজমেন্ট পার্ক’ পুরোদমেই জমে উঠেছে

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

বিশ্ব মানের বিনোদন কেন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল এমিউজমেন্ট পার্ক পুরোদমে জমে উঠেছে। এটি রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি চেইন্দা বসুন্ধরা পার্কে হিসেবে সকলেই চিনে। প্রতিদিন এ পার্কে শতশত স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশি-বিদেশী পর্যটকের আগমনে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য পার্কে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের খেলনাসহ বিনোদনের জায়গা।

এছাড়া শিশুদেরও বিনোদনের জন্য রেল, দোলনাসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সবুজ প্রকৃতির সাথে আপনজনকে নিয়ে বসুন্ধরা পার্কে বেড়াতে আসছে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশি-বিদেশী পর্যটকেরাও। এদিকে প্রতদিনেই স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের পিকনিকের আয়োজনও চোখে পড়ার মতো।

এখন প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ভিড় করছে আকর্ষনীয় এ পার্কটিতে। শুধু তাই নয়, ভিন্নমাত্রার এই পার্কে মনের সুখে ঘুরে বেড়াতে ভুল করছেন না স্থানীয়রাও। বিশেষ করে পর্যটন নগরীতে শিশুদের জন্য ইতোমধ্যেই বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সবার নজর কেড়েছে। সব মিলিয়ে ভ্রমন পিপাষু মানুষগুলোর জন্য থ্রিডি, সেনেমা প্যালেস ও দেশী-বিদেশী মাছের একুরিয়াম পার্কটিতে মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটন ও সংশ্লিষ্টরা।

বেড়াতে আসা পর্যটক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বসুন্ধরা পার্কের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে বিনোদনের জায়গা।
চারপাশে নির্মাণ করা হয়েছে বসার স্থান। নিরাপত্তা জোরদারসহ পর্যটকদের অনায়াসে বেড়ানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আনন্দঘন পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে পর্যটকরা বসুন্ধরা পার্কে বেড়াতে পারছেন।

ঢাকার পাশ্ববর্তী যাত্রাবাড়ি থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মো. ইসলাম ও কোহিনুর আক্তার বলেন, যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুটা দুরে ভ্রমনের জায়গা হলো কক্সবাজার। এখানে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতটি ছাড়া দেখারমতো আর তেমন কিছু নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল এমিউজমেন্ট পার্কটি দেখে মন জুড়িয়ে গেলো। ভাললাগার অনেক কিছু রয়েছে এই পার্কে।

একই মতামত জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন স্থানীয় দর্শনার্থী। তারা বলেন, আন্তর্জাতিকমানের এই বিনোদন পার্ক কক্সবাজারকে বদলে দিবে।

এদিকে নিজ এলাকায় আন্তর্জাতিকমানের একটি পার্ক গড়ে উঠায় সত্যি আনন্দদায়ক মন্তব্য করে স্থানীয় দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুচ ভুট্টো জানান, এখানে ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে শুধু দেশী-বিদেশী পর্যটক নয়, স্থানীয় মানুষগুলোও বাড়ি বিনোদন উপভোগ করতে পারবে।

সরজমিনে দেখা যায়, ঝিমিয়ে পড়া পার্ক হঠাৎ জনপ্রিয়তায় হয়ে উঠে আকাশছোঁয়া। দুর দুরান্ত থেকে দেশী-বিদেশী পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় মানুষদের বাড়তি বিনোদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এমিউজমেন্ট পার্ক। নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর পার্কটি ঝিমিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পরিবার প্রধানের মৃত্যুর শোক কাটিতে বর্তমানে পার্কের হাল ধরেন মরহুম নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের জামাতা নুর উদ্দিন ইমরান। তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে রামু চেইন্দা এলাকায় ১শ’ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এ পার্ক। আন্তর্জাতিকমানের পার্কটি স্থাপনের পর থেকে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের চেহারাই অনেকটা বদলে গেছে বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

ইতিমধ্যে পার্কে রয়েছে, অত্যাধুনিক মুভিং রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, ঝরণা ঘর, লেক, ঝরণা ছাতা, বাগান, মিনি চিড়িয়াখানা, আধুনিক জিমনেসিয়াম, মিনি শিশু পার্ক, মৎস্য খামারসহ আরো বেশ কিছু বিনোদনের স্থান।

ইন্টারন্যাশনাল এমিউজমেন্ট পার্কের ম্যানেজার মো. জনি বলেন, ঝিমিয়ে পড়া পার্কটি আবারও জমে উঠেছে। এতে প্রতিনিয়তেই স্থানীয়দের পাশপাশি পর্যটকে ভরপুর থাকে। পাশাপাশি প্রতিদিনই রয়েছে বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমন ও পিকনিক আয়োজন।